রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

আসামি বাবু নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এটি মিথ্যা : আইনজীবী

আসামি বাবু নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন এটি মিথ্যা : আইনজীবী

নুর মোহাম্মদ,জামালপুর: জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। তবে হত্যাকাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে ওই হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি চেয়ারম্যান পুত্রকেও গ্রেপ্তার করতে পারিনি। ফলে বিচার না পাওয়ার শঙ্কাও করছেন তার পরিবার। এরই মধ্যে আবার এসেছে খুশির ঈদ। তবে এই আনন্দ নেই নাদিমের পরিবারে। তাদের কাছে ঈদ এসেছে দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ জুন পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন নাদিম। পরে ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুন নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে মাহমুদুল হাসান বাবু চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ ২২ জনের নামে ও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা প্রথমে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান বাবু চেয়ারম্যান কারাগারে থাকলেও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এদিকে বেশিভাগ আসামি জামিন রয়েছেন। নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, বাবা ছাড়া পরিবারে কি আনন্দ থাকে, সন্তানের বাবা বেঁচে থাকলে আজ ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাইতো। আজ বাবা ছাড়া ছেলেরা একা, পরিবারের মাঝে নেই কোন ঈদ আনন্দ। এখন শুধু বেঁচে রয়েছে দুঃখ সহ স্মৃতি নিয়ে। এদিকে মামলার বিচার নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছি। মামলার দ্বিতীয় আসামি চেয়ারম্যান পুত্র তাকে মামলা থেকে বাদ দিতে নানান ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বেশি আসামি জামিনে রয়েছে। আমরা দ্রুত একটি সুষ্ঠু বিচারের আশায় রয়েছি। নিহত সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘ঈদের সকালে আব্বু নতুন জামা পরিয়ে দিয়ে সবাইকে নিয়ে ছবি তুলতো পরে একসাথে ঘুরে বেড়াতাম। এখন আর সেসব কিছুই হয়। এখন শুধুই সেসব স্মৃতি, এদিকে মামলা থেকে দুই নাম্বার আসামিকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আজ পর্যন্ত দুই নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সাংবাদিক নাদিমের মা আলেয়া বেগমের কাছে ঈদের সকাল বেলা কেমন কাটলে জানতে চাইলে কান্না করে বলেন, আমাদের এখন আর ঈদ নেই, ছেলে ছাড়া কিভাবে আমাদের ঈদ হয়। এই ঈদে সকালবেলা রান্না বা খাওয়া দাওয়া নেই। আগে ঈদের দিন ছেলে নাতিদের নিয়ে ঘোরাফেরা আনন্দ করতো। এখন সেই আনন্দ নেই ঘরের মধ্যে চুপ করে বসে থাকা ছাড়া। সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, মামলাটি প্রথমে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি আরমান আলী আমাদের বলেছিলেন, আসামি বাবু নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু এটি মিথ্যাচার ছিল। পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মামলার তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা সাংবাদিক হত্যা মামলা। ২০২৩ সালের সবচেয়ে আলোচিত মামলা। প্রকৃত দোষীরা কেউ এ মামলা থেকে ছাড় পাবে না। পলাতক দুই আসামি দেশের বাইরে আছেন কিনা? এ বিষয়ে তার জানা নেই বলে জানান তিনি।

নুর মোহাম্মদ,জামালপুর:
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সারাদেশে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল। তবে হত্যাকাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে ওই হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি চেয়ারম্যান পুত্রকেও গ্রেপ্তার করতে পারিনি। ফলে বিচার না পাওয়ার শঙ্কাও করছেন তার পরিবার। এরই মধ্যে আবার এসেছে খুশির ঈদ। তবে এই আনন্দ নেই নাদিমের পরিবারে। তাদের কাছে ঈদ এসেছে দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৪ জুন পেশাগত কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হন নাদিম। পরে ১৫ জুন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাদিমের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১৭ জুন নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে মাহমুদুল হাসান বাবু চেয়ারম্যান ও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতসহ ২২ জনের নামে ও ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলা প্রথমে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল হাসান বাবু চেয়ারম্যান কারাগারে থাকলেও তার ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এদিকে বেশিভাগ আসামি জামিন রয়েছেন।

নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, বাবা ছাড়া পরিবারে কি আনন্দ থাকে, সন্তানের বাবা বেঁচে থাকলে আজ ছেলেকে নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাইতো। আজ বাবা ছাড়া ছেলেরা একা, পরিবারের মাঝে নেই কোন ঈদ আনন্দ। এখন শুধু বেঁচে রয়েছে দুঃখ সহ স্মৃতি নিয়ে। এদিকে মামলার বিচার নিয়েও আশঙ্কায় রয়েছি। মামলার দ্বিতীয় আসামি চেয়ারম্যান পুত্র তাকে মামলা থেকে বাদ দিতে নানান ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। বেশি আসামি জামিনে রয়েছে। আমরা দ্রুত একটি সুষ্ঠু বিচারের আশায় রয়েছি।

নিহত সাংবাদিক নাদিমের মেয়ে রাব্বিলাতুল জান্নাত বলেন, ‘ঈদের সকালে আব্বু নতুন জামা পরিয়ে দিয়ে সবাইকে নিয়ে ছবি তুলতো পরে একসাথে ঘুরে বেড়াতাম। এখন আর সেসব কিছুই হয়। এখন শুধুই সেসব স্মৃতি, এদিকে মামলা থেকে দুই নাম্বার আসামিকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। আজ পর্যন্ত দুই নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

সাংবাদিক নাদিমের মা আলেয়া বেগমের কাছে ঈদের সকাল বেলা কেমন কাটলে জানতে চাইলে কান্না করে বলেন, আমাদের এখন আর ঈদ নেই, ছেলে ছাড়া কিভাবে আমাদের ঈদ হয়। এই ঈদে সকালবেলা রান্না বা খাওয়া দাওয়া নেই। আগে ঈদের দিন ছেলে নাতিদের নিয়ে ঘোরাফেরা আনন্দ করতো। এখন সেই আনন্দ নেই ঘরের মধ্যে চুপ করে বসে থাকা ছাড়া।

সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ইউসুফ আলী বলেন, মামলাটি প্রথমে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে সিআইডি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির তৎকালীন ওসি আরমান আলী আমাদের বলেছিলেন, আসামি বাবু নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। কিন্তু এটি মিথ্যাচার ছিল।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘মামলার তদন্ত কাজ শেষ পর্যায়ে। শিগগিরই অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এটা সাংবাদিক হত্যা মামলা। ২০২৩ সালের সবচেয়ে আলোচিত মামলা। প্রকৃত দোষীরা কেউ এ মামলা থেকে ছাড় পাবে না। পলাতক দুই আসামি দেশের বাইরে আছেন কিনা? এ বিষয়ে তার জানা নেই বলে জানান তিনি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |